টেনিদা-র চিত্রশিল্পী
== এই ব্লগে প্রদর্শিত অপরের রচনাংশ, স্থিরচিত্র বা অলংকরণের কপিরাইট আমাদের নয় । ==
পোস্টের বক্তব্য স্পষ্টতর
করতে এগুলি সাজানো হচ্ছে । কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থে নয় ।
![]() |
কয়েকজন টেনিদা-শিল্পীর স্বাক্ষর (বাঁদিক
থেকে) : কমল চ্যাটার্জি, নরেন্দ্র দত্ত, বলাইবন্ধু রায়, সুভাষ সিংহ-রায়, বীতপাল (অতনু বসু) । |
অলংকরণ ১ !
শিশু-কিশোর সাহিত্যের এক আকর্ষণীয় অঙ্গ ।
বিশেষত গল্পের মার্কামারা চরিত্রদের ক্ষেত্রে থাকে বাড়তি কৌতূহল ।
মনের মধ্যে একটা আদল এঁকে দেয় সাহিত্যিকের বিবরণ ।
তার সঙ্গে মিলবে তো শিল্পী-সৃষ্ট প্রতিকৃতি ?
টেনিদা লেখা হয়েছে গত শতাব্দীর চতুর্থ দশক থেকে ১৯৭০ অবধি ।
এই সময়কালে পালটেছে গ্রন্থচিত্রণের ধাঁচ ।
পুরনো প্রতিভার সঙ্গে আনকোরা আঁকিয়েরাও কতভাবে কল্পনা করেছেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর নায়ককে ।
কত না বিচিত্র শৈলীতে ।
সমৃদ্ধ হয়েছে আমাদের কৈশোরের টেনি-পাঠ ।
গণ্ডার । পিরামিড । শিঙাড়া । কুতুব মিনার ।
নায়কের নাসিকার নানান উপমা দিয়েছিলেন স্রষ্টা ।
চিত্রকরগণ তাই চিরকাল তাঁর নাক-সম্পর্কে যত্নবান ।
_______________
হিসাবমত, টেনিদা-র পয়লা কীর্তি ‘খট্টাঙ্গ ও পলান্ন’ ।
স্বাক্ষর থেকে জানা যাচ্ছে অলংকরণ-শিল্পীর পরিচয় ।
কমল চ্যাটার্জি ।
শীর্ষচিত্রে বিভিন্ন মুখের কোলাজ । এছাড়া দ্বিবর্ণে, গল্পের এক নাটকীয় মুহূর্ত ।
_______________
ইতিহাস বা পুরাণ নির্ভর চিত্রে অদ্বিতীয় ছিলেন পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী (১৯০৩ – ১৯৮৯) ।
‘ভজহরি ফিলম কর্পোরেশন’ গল্পে তিনিই টেনিদা-র আর্টিস্ট ।
![]() |
পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী (১৯০৩ – ১৯৮৯) । |
_______________
লেখক-শিল্পী ধীরেন্দ্রনাথ বল (১৯১২ – ১৯৯২) অলংকৃত করেন বহু বিখ্যাত নারায়ণ-কাহিনি ।
‘পরের উপকার করিও না’-র কাঠগড়ায় গম্ভীর ভজহরি কখন বদলে যান ‘বেয়ারিং ছাঁট’-এর আড্ডাবাজ দাদায় ।
‘দশানন-চরিত’-চিত্রে অবশ্য তিনি নিজে অনুপস্থিত ।
‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাসির গল্প’ গ্রন্থের ‘ন্যাংচাদার ‘হাহাকার’’-এও তাই ।
তবে চার মূর্তি-ই কিন্তু জ্বলজ্বল করছেন ধীরেন বল-কৃত ‘ঝাউ-বাংলোর রহস্য’ (শৈব্যা সংস্করণ)-এর মলাটে ।
![]() |
ধীরেন্দ্রনাথ বল (১৯১২ – ১৯৯২) । |
_______________
কোন পুস্তক-প্রচ্ছদে প্রথম পেলাম টেনিদা-কে ?
‘সপ্তকাণ্ড’ (১৩৫৫) ।
‘সপ্তকাণ্ড’ (১৩৫৫) ।
শিল্পী : চিত্রমাধ্যমে ‘হর্ষবর্ধন, গোবর্ধন ও
টেনিদার রূপকার’ ২ , শৈল নারায়ণ চক্রবর্তী (১৯০৯ – ১৯৮৯) ।
ভিতরের চারখানি গল্পে তাঁর প্রথম টেনি-চিত্রণ ।
পরে ‘বার্ষিক শিশুসাথী’ এবং দেব
সাহিত্য কুটীর বার্ষিকীতে যথাক্রমে দুটি ও চারটি প্রথম-প্রকাশিত টেনিদা-ও তিনিই
আঁকেন ।
শৈল-সৃষ্ট ‘কাঁকড়াবিছে’ বা ‘টেনিদা আর ইয়েতি’-র রঙিন ছবি, ‘সবার
প্রিয় টেনিদা’ ও ‘চার মূর্তি’ বইয়ের মলাট তো ক্লাসিক ।
পাশাপাশি ‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাসির গল্প’-র দুখানি কাহিনি সহ অজস্র মিশ্র সংকলনের চমৎকার চিত্রাবলী তো আছেই ।
পাশাপাশি ‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাসির গল্প’-র দুখানি কাহিনি সহ অজস্র মিশ্র সংকলনের চমৎকার চিত্রাবলী তো আছেই ।
‘পেশোয়ার
কি আমীর’, শিল্পী ।। শৈল চক্রবর্তী । ‘আজগুবি গল্প’, সম্পাদনা – গীতা দত্ত, এশিয়া পাবলিশিং কোম্পানি, ১৩৯১ (৩য় প্রকাশ) । |
ঘনাদা ৩ বা ফেলুদা-র সর্বজনপরিচিত চেহারা রয়েছে ।
অজিত গুপ্ত বা সত্যজিৎ রায়-এর অলংকরণের সৌজন্যে ।
শৈল বাবু কিন্তু নানা শৈলীতে গড়েছেন তাঁর টেনিদা-কে । আলাদা আলাদা আদলে ।
‘চার মূর্তি’ গ্রন্থের দুটি সংস্করণ হাতে নিলেই তা বোঝা যাবে ।
শিব্রাম-শৈল জুটির সমকক্ষ নারায়ণ-শৈল নারায়ণ কম্বিনেশন ।
![]() |
শৈল নারায়ণ চক্রবর্তী (১৯০৯ – ১৯৮৯) । |
_______________
প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৩ – ১৯৭৪) ।
মানেই দেব সাহিত্য কুটীর পূজাবার্ষিকী ।
‘বনভোজনের ব্যাপার’ থেকে পটলডাঙার লিডার
এলেন এই শারদ-সিরিজে ।
তাঁর তিনটি কিসসায় সুপরিচিত প্রতুল-তুলির টান ।
তাঁর তিনটি কিসসায় সুপরিচিত প্রতুল-তুলির টান ।
![]() |
প্রতুল চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৩ – ১৯৭৪) । |
_______________
ঐ বার্ষিকী-সম্ভারে টেনিদা-র সর্বাধিক অলংকরণ কিন্তু বলাইবন্ধু রায় (জন্ম ১৯০৩) মহাশয়ের ।
মোট পাঁচখানি গল্পে ।
প্রতুল চন্দ্র-র রিয়ালিস্টিক মেজাজ তাঁর ছবিতেও লভ্য ।
_______________
টেনিদা । প্যালা । ক্যাবলা । হাবুল ।
প্রতুল চন্দ্র-র রিয়ালিস্টিক মেজাজ তাঁর ছবিতেও লভ্য ।
_______________
টেনিদা । প্যালা । ক্যাবলা । হাবুল ।
এঁদের উপন্যাস # ১ ‘চার মুর্ত্তি’ প্রথম
চিত্রিত করেন কে ৪ ?
সেই শিল্পী, যিনি ইতিপূর্বে ঘনাদা-কেও তুলে ধরেন অভিনব ভঙ্গিতে ৫ ।
নরেন্দ্র দত্ত ।
‘ক্রিকেট মানে ঝিঁঝিঁ’-ও তাঁর অঙ্কিত ।
_______________
ক্যালিগ্রাফি এবং স্বকীয় অলংকরণশৈলীর গুণে সমর দে (১৯০৭ – ১৯৮৫) অনন্য ।
তাঁর টেনি-চিত্র বেরয় ‘শুকতারা’ ও ‘বার্ষিক শিশুসাথী’-তে ।
‘হালখাতার খাওয়া-দাওয়া’-র হিরো, পোশাকে-আকৃতিতে রীতিমত পূর্ণবয়স্ক ।
আবার ‘সাংঘাতিক !’ গল্পের শীর্ষ-ছবি অতি চমকপ্রদ ।
_______________
১৩৬৫ সনে ‘চার মূর্তির অভিযান’ উপন্যাস ।
হেডপীসে চাটুজ্যেদের রোয়াক । বেশ কয়েকটি কিস্তির মানানসই অলংকরণ ।
আর্টিস্ট : সুভাষ সিংহ-রায় ।
_______________
‘সন্দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল শেষ দুই নভেল ।
সেগুলি গ্রন্থস্থ হওয়ার কালেও, ব্যবহৃত হয় ‘সন্দেশ’-এর মূল স্কেচ ।
সুবোধ কুমার দাশগুপ্ত (১৯৩০ – ২০০৯) চির-ব্যতিক্রমী শিল্পী ।
‘ঝাউ-বাংলোর রহস্য’ ধারাবাহিকে তাঁর কার্টুনধর্মী কাজ সবার থেকে আলাদা ।
একই কথা প্রযোজ্য ‘কম্বল নিরুদ্দেশ’-এর ক্ষেত্রেও ।
এই উপন্যাস এবং ‘হনোলুলুর মাকুদা’ গল্পে ছবির সঙ্গে মাঝে মধ্যে চোখে পড়ে সংলাপ । প্রায় কমিকসের কৌশলে ।
উভয়ের চিত্রকর - চলচ্চিত্রকার নীতীশ মুখোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৪১) ।
_______________
‘টিকটিকির ল্যাজ’ । ‘ঘুঁটেপাড়ার সেই ম্যাচ’ ।
ফুটবল-কেন্দ্রিক জোড়া কাহিনির অলংকরণ সূর্য রায় (১৯১৩ – ১৯৭৯)-এর ।
_______________
‘গজকেষ্ট বাবুর হাসি’-তে চার মূর্তি-র উপস্থিতি ছিল সংক্ষিপ্ত ।
এই গল্পে ও ‘একাদশীর রাঁচি যাত্রা’-য় ছবি আঁকেন বীতপাল (অতনু বসু) (জন্ম ১৯১১) ।
_______________
টেনিদা-র শেষ কাহিনিত্রয়ীর অন্যতম ‘চেঙ্গিস আর হ্যামলিনের বাঁশিওলা’ ।
শিল্পী ? স্বয়ং ‘সন্দেশ’-সম্পাদক সত্যজিৎ (১৯২১ – ১৯৯২) ।
চিত্রে বংশীবাদক হাজির । ভজহরি নন ।
পরে এই আক্ষেপ কিছুটা মিটিয়ে আশা দেবী ৬ রচিত ‘আসল টেনিদা’ ৭ -কে জীবন্ত করেছিলেন রায় মহাশয় ।
‘সন্দেশ’, ‘সেরা সন্দেশ’ এবং পুস্তক-সংস্করণে ।
_______________
‘টেনিদা দি গ্রেট’-এর কমলা-সবুজ প্রচ্ছদ অনেকেরই মনে আছে ।
রূপকার ছিলেন মদন সরকার (জন্ম ১৯৪২) ।
ইনি ‘চারমূর্তির অভিযান’ (গ্রন্থপ্রকাশ সংস্করণ) বইখানিও অলংকৃত করেন ।
সেই শিল্পী, যিনি ইতিপূর্বে ঘনাদা-কেও তুলে ধরেন অভিনব ভঙ্গিতে ৫ ।
নরেন্দ্র দত্ত ।
‘ক্রিকেট মানে ঝিঁঝিঁ’-ও তাঁর অঙ্কিত ।
_______________
ক্যালিগ্রাফি এবং স্বকীয় অলংকরণশৈলীর গুণে সমর দে (১৯০৭ – ১৯৮৫) অনন্য ।
তাঁর টেনি-চিত্র বেরয় ‘শুকতারা’ ও ‘বার্ষিক শিশুসাথী’-তে ।
‘হালখাতার খাওয়া-দাওয়া’-র হিরো, পোশাকে-আকৃতিতে রীতিমত পূর্ণবয়স্ক ।
আবার ‘সাংঘাতিক !’ গল্পের শীর্ষ-ছবি অতি চমকপ্রদ ।
![]() |
সমর দে (১৯০৭ – ১৯৮৫) । |
_______________
১৩৬৫ সনে ‘চার মূর্তির অভিযান’ উপন্যাস ।
হেডপীসে চাটুজ্যেদের রোয়াক । বেশ কয়েকটি কিস্তির মানানসই অলংকরণ ।
আর্টিস্ট : সুভাষ সিংহ-রায় ।
_______________
‘সন্দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল শেষ দুই নভেল ।
সেগুলি গ্রন্থস্থ হওয়ার কালেও, ব্যবহৃত হয় ‘সন্দেশ’-এর মূল স্কেচ ।
সুবোধ কুমার দাশগুপ্ত (১৯৩০ – ২০০৯) চির-ব্যতিক্রমী শিল্পী ।
‘ঝাউ-বাংলোর রহস্য’ ধারাবাহিকে তাঁর কার্টুনধর্মী কাজ সবার থেকে আলাদা ।
![]() |
সুবোধ দাশগুপ্ত (১৯৩০ – ২০০৯) । |
একই কথা প্রযোজ্য ‘কম্বল নিরুদ্দেশ’-এর ক্ষেত্রেও ।
এই উপন্যাস এবং ‘হনোলুলুর মাকুদা’ গল্পে ছবির সঙ্গে মাঝে মধ্যে চোখে পড়ে সংলাপ । প্রায় কমিকসের কৌশলে ।
উভয়ের চিত্রকর - চলচ্চিত্রকার নীতীশ মুখোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৪১) ।
![]() |
নীতীশ মুখোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৪১) । |
_______________
‘টিকটিকির ল্যাজ’ । ‘ঘুঁটেপাড়ার সেই ম্যাচ’ ।
ফুটবল-কেন্দ্রিক জোড়া কাহিনির অলংকরণ সূর্য রায় (১৯১৩ – ১৯৭৯)-এর ।
![]() |
সূর্য রায় (১৯১৩ – ১৯৭৯) । |
_______________
‘গজকেষ্ট বাবুর হাসি’-তে চার মূর্তি-র উপস্থিতি ছিল সংক্ষিপ্ত ।
এই গল্পে ও ‘একাদশীর রাঁচি যাত্রা’-য় ছবি আঁকেন বীতপাল (অতনু বসু) (জন্ম ১৯১১) ।
_______________
টেনিদা-র শেষ কাহিনিত্রয়ীর অন্যতম ‘চেঙ্গিস আর হ্যামলিনের বাঁশিওলা’ ।
শিল্পী ? স্বয়ং ‘সন্দেশ’-সম্পাদক সত্যজিৎ (১৯২১ – ১৯৯২) ।
চিত্রে বংশীবাদক হাজির । ভজহরি নন ।
![]() |
সত্যজিৎ রায় (১৯২১ – ১৯৯২) । |
পরে এই আক্ষেপ কিছুটা মিটিয়ে আশা দেবী ৬ রচিত ‘আসল টেনিদা’ ৭ -কে জীবন্ত করেছিলেন রায় মহাশয় ।
‘সন্দেশ’, ‘সেরা সন্দেশ’ এবং পুস্তক-সংস্করণে ।
(আসল) টেনিদা-র
প্রতিকৃতি ।। সত্যজিৎ
রায় ।
‘সেরা সন্দেশ’ থেকে । |
_______________
‘টেনিদা দি গ্রেট’-এর কমলা-সবুজ প্রচ্ছদ অনেকেরই মনে আছে ।
রূপকার ছিলেন মদন সরকার (জন্ম ১৯৪২) ।
ইনি ‘চারমূর্তির অভিযান’ (গ্রন্থপ্রকাশ সংস্করণ) বইখানিও অলংকৃত করেন ।
![]() |
মদন সরকার (জন্ম ১৯৪২) । |
_______________
‘পটলডাঙ্গার টেনিদা’-র শিল্পী রবীন দত্ত ।
সৌরীশ মিত্র এঁকেছেন ‘কিশোর টেনিদা সমগ্র’ পুস্তক-প্রচ্ছদ ।
_______________
গ্রন্থনাম ‘টেনিদা ও ভূতুড়ে কামরা’ ।
মলাটে যিনি দৃশ্যমান, তিনি কিন্তু টেনি-র আদলে বলটুদা । ‘ভূতুড়ে কামরা’ গল্পের নায়ক ।
অন্দরে ‘প্রভাত সঙ্গীত’ চিত্রিত করেন সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৫৯) ।
![]() |
সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৫৯) । |
_______________
টেনিদা-র বই । অথচ প্রচ্ছদে তিনি নেই ।
দু’খানি অনবদ্য উদাহরণ রয়েছে ।
‘ঝাউ-বাংলোর রহস্য’ (বিচিত্রা সংস্করণ) । ‘কম্বল নিরুদ্দেশ’ (শৈব্যা সংস্করণ) ।
প্রথমটায় সাঁতরা সাহেব, অপরটিতে দস্যি কম্বল ।
উপন্যাসের রহস্যময়-মজাদার মেজাজ নিখুঁতভাবে মলাটে প্রতিফলিত ।
অঙ্কনে যথাক্রমে সুবোধ দাশগুপ্ত এবং দেবাশীষ দেব (জন্ম ১৯৫৫) ।
শেষোক্ত শিল্পী পরে ‘টেনিদা সমগ্র’-ও সাজিয়ে তোলেন ।
![]() |
দেবাশীষ দেব (জন্ম ১৯৫৫) । |
_______________
‘টেনিদার অভিযান’, ‘বৃহৎ টেনিদা সংকলন’-এ চিত্রকর : সাহিত্যিক-শিল্পী গৌতম রায় (জন্ম ১৯৩৯) ।
শৈব্যা প্রকাশন-এর গ্রন্থগুচ্ছে বারংবার মেলে তাঁর চার মূর্তির মুখ ।
![]() |
গৌতম রায় (জন্ম ১৯৩৯) । |
_______________
‘ক্রিকেটার টেনিদা’ ইত্যাদি বহু বইয়ের মলাট সত্য চক্রবর্তী-র ।
মূলত কামিনী প্রকাশালয়-এর সেই সব নিবেদনের অলংকরণ অবশ্য দিলীপ দাস-কৃত ।
![]() |
সত্য চক্রবর্তী । |
![]() |
দিলীপ দাস । |
_______________
শেষে কমিকস-প্রসঙ্গ ।
‘চারমূর্তি’ নিয়ে চিত্র-কাহিনি সৃষ্টি
করেন গৌতম রায় ।
তৎপূর্বে সুবোধ দাশগুপ্ত, ‘যুগান্তর’ পত্রিকা-র ‘পাততাড়ি’ বিভাগে (১৩৭৯) ।
[দ্রষ্টব্য : BlOGUS
ব্লগে ‘কমিকসে ‘চারমূর্তি’ - ১’ -
শিল্পী : দেবকান্তি দাশগুপ্ত
।
‘সন্দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ‘রামগরুড়’
ওরফে রাহুল মজুমদার
(জন্ম ১৯৫৩)-এর ‘হনোলুলুর মাকুদা’ (১৪০৭) ।
পরে নবীন প্রতিভা হর্ষমোহন চট্টরাজ (জন্ম ১৯৮০) আঁকেন ‘ভজগৌরাঙ্গ কথা’ (১৪১৬) ও ‘প্রভাত সঙ্গীত’
(১৪২৩) ।
সৌকর্য্য ঘোষাল (জন্ম ১৯৮৬) - ‘ঢাউস’ (১৪১৭) ।
সৌকর্য্য ঘোষাল (জন্ম ১৯৮৬) - ‘ঢাউস’ (১৪১৭) ।
![]() |
হর্ষমোহন চট্টরাজ (জন্ম ১৯৮০) । |
হালে, টেনিদা-কমিকসের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য অরিজিৎ দত্ত চৌধুরী-র নাম ।
একে একে সৃষ্টি করেছেন ‘টেনিদা আর সিন্ধুঘোটক’, ‘চারমূর্তি’, ‘দধীচি, পোকা ও বিশ্বকর্মা’, ‘সাংঘাতিক’, ‘টেনিদা আর ইয়েতি’, ‘মৎস্যপুরাণ’, ‘ঝাউ-বাংলোর রহস্য’ প্রভৃতি চিত্র-কাহিনি ।
কয়েকটি সংকলিত হয়েছে গ্রন্থে ।
_______________
বাংলার ইলাস্ট্রেটরগণ চির-অবহেলিত ।
পত্রিকা, শারদীয়া বা বইতে অনুচ্চারিত রয়ে গেছে কতজনের নাম ।
যেমন ‘মৎস্য-পুরাণ’ বা ‘একটি ফুটবল ম্যাচ’-এর প্রথম শিল্পীদের চিহ্নিত করাই সম্ভব হয়নি ।
‘টেনিদা ট্রেজারি’ ব্লগের এই সংক্ষিপ্ত অধ্যায়ের আড়ালে রইল অগুন্তি গ্রন্থ । অজস্র আঁকিয়ে ।
উল্লিখিত সবার ক্ষেত্রে শিল্পীর প্রতিকৃতি, স্বাক্ষর বা জন্মসালটুকুও জোগাড় করা গেল না ।
আমরা ক্ষমাপ্রার্থী ।
বর্তমান ব্লগার সংগ্রাহক বা গবেষক নন ।
এই অলংকরণ আর্কাইভ, টেনিদা-র সমস্ত অলোকসামান্য আর্টিস্টদের প্রতি তাঁর অকিঞ্চিৎকর অর্ঘ ।
___________________________________________________________________________________
১ = শ্রদ্ধেয় অলংকরণ-শিল্পীদের সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য গৃহীত হয়েছে নিম্নলিখিত উৎস থেকে :
ক) ‘Alamkaran’, সম্পাদনা – প্রণবেশ মাইতি, সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০১০ ।
খ) ‘বাংলা সাহিত্যের অলঙ্করণ’, প্রণবেশ মাইতি, সহজপাঠ ও যাপন, ২০১৪ ।
গ) ‘বাংলা সাহিত্যে গ্রন্থচিত্রণ তত্ত্ব, প্রকরণ ও ইতিহাস’, তাপস সাহা, দিয়া পাবলিকেশন, ২০১৫ ।
ঘ) ‘শতবর্ষের সন্দেশ কমিকস-সমগ্র’ (১৩২০ – ১৪১৯), প্রথম খণ্ড, সম্পাদনা – সন্দীপ রায়, দেবাশিস সেন, লালমাটি প্রকাশন, ২০১৫ ।
ঙ) ‘Bengali Indrajal Comics ForEver’ ব্লগ : http://indraindrajal.blogspot.in/2016/11/download.html
২ = রবীন বল রচিত নিবন্ধ, ‘কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান’, অক্টোবর – নভেম্বর ১৯৮৯ ।
৩ = দ্রষ্টব্য : ‘ঘনাদা গ্যালারি’ ওয়েবসাইট –
http://ghanada.wixsite.com/ghanada-gallery/artists-gallery
৪ = দ্রষ্টব্য : ‘BlOGUS’ ব্লগে ‘টেনিদা ও চিত্রিত ‘চার মূর্ত্তি’’ –
http://blogus-abogusblog.blogspot.in/2016/11/Tenida-and-the-Charming-Charmurti.html
৫ = দ্রষ্টব্য : ‘ঘনাদা গ্যালারি’ ওয়েবসাইটে ‘নুড়ি’ (১৯৪৭) –
http://ghanada.wixsite.com/ghanada-gallery/short-stories-from-the-1940s
‘প্রেমেন্দ্র মিত্রের সেরা গল্প’ (১৯৫০) বইটিও অলংকৃত করেছিলেন নরেন্দ্র দত্ত ।
৬ = নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর পত্নী ।
৭ = ‘আসল’ টেনিদা ছিলেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর এককালের বাড়িওয়ালার পুত্র ।
পটলডাঙার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় ।
দ্রষ্টব্য
:
‘টেনিদা’ – http://tenida-treasury.blogspot.in/p/tenida.html
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
6 comments:
Asadharon, ei blog r protyekta lekha Amader Rock Culture r totha Tenida k mone korai
ধন্যবাদ অর্ণব !
সত্যিই, আমাদের হারানো রক (রোয়াক) সংস্কৃতি-র একটা মন-কেমন-করা চেহারা - তার আলোর চপের সুগন্ধ সহ - ঐ টেনিদা-কাহিনি থেকেই লভ্য ।
Anabadya Udyog...abhinaba prochesta...Sadhu!!! Sadhu!!!
অশেষ ধন্যবাদ স্যমন্তক !
'টেনিদা ট্রেজারি' ব্লগে স্বাগত জানাই ।
অরিজিৎ দত্ত চৌধুরী সম্ভবত 'ঝাউবাংলোর রহস্য'-কেও চিত্রকাহিনী বানিয়েছিলেন........
আপনি ঠিকই বলেছেন । ধন্যবাদ ।
Post a Comment