নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প [বই] (অভ্যুদয় সংস্করণ)
== এই ব্লগে প্রদর্শিত অপরের রচনাংশ, স্থিরচিত্র বা অলংকরণের কপিরাইট আমাদের নয় । ==
পোস্টের বক্তব্য স্পষ্টতর
করতে এগুলি সাজানো হচ্ছে । কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থে নয় ।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর
তেরোটি কাহিনির সংকলন ।
টেনিদা-র
গল্প পাঁচখানি ।
লেখকের একটি অসামান্য ভূমিকা এই গ্রন্থের
সম্পদ ।
পুত্র ‘ছোট্ট অরিজিৎ’-কে এটি উৎসর্গ করা হয়
।
পরে অন্নপূর্ণা পাবলিশিং হাউস থেকে
পুনঃপ্রকাশিত হয় ‘ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প’ (জুন ১৯৭৪) ।
ভূমিকা
ও উৎসর্গপত্র অপরিবর্তিত থাকলেও, অভ্যুদয় সংস্করণের দুটি গল্প এতে বাদ পড়ে :
‘কলকাতার লোক’, ‘দুপুর বেলার লোকটা’ ।
প্রকাশক
: অভ্যুদয়
প্রকাশ-মন্দির ।
সাল : আশ্বিন
১৩৬২ / অক্টোবর ১৯৫৫ ।
প্রচ্ছদ
শিল্পী : সমীর রায়চৌধুরী ।
গ্রন্থে সংকলিত টেনিদা-র কাহিনি :
১) ‘বনভোজনের ব্যাপার’
২) ‘পরের উপকার করিও না’
৩) ‘একটি ফুটবল ম্যাচ’
৪) ‘ক্যামোফ্লেজ’৫) ‘কুট্টিমামার হাতের কাজ’
গ্রন্থে সংকলিত নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর টেনিদা-হীন কাহিনি :
১) ‘ভালোয়-ভালোয়’
২) ‘প্যাঁচা ও পাঁচুগোপাল’
৩) ‘সেই বইটি’
৪) ‘চরণামৃত’
৫) ‘কলকাতার লোক’
৬) ‘দুরন্ত নৌকা-ভ্রমণ’
৭) ‘দুর্ধর্ষ মোটর-সাইকেল’
৮) ‘দুপুর বেলার লোকটা’
প্রচ্ছদ :
‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প’,
অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, আশ্বিন ১৩৬২ । শিল্পী ।। সমীর রায়চৌধুরী । |
‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প’,
অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, আশ্বিন ১৩৬২ । |
‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প’, অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, আশ্বিন ১৩৬২ । গল্প ।। ‘বনভোজনের ব্যাপার’ । |
‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প’, অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, আশ্বিন ১৩৬২ । গল্প ।। ‘পরের উপকার করিও না’ । |
‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প’, অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, আশ্বিন ১৩৬২ । গল্প ।। ‘একটি ফুটবল ম্যাচ’ । |
‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প’, অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, আশ্বিন ১৩৬২ । গল্প ।। ‘ক্যামোফ্লেজ’ । |
‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প’, অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, আশ্বিন ১৩৬২ । গল্প ।। ‘কুট্টিমামার হাতের কাজ’ । |
ভূমিকা :
ভূমিকা, ‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের শ্রেষ্ঠ
গল্প’, অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, আশ্বিন ১৩৬২ । |
উৎসর্গপত্র :
উৎসর্গপত্র, ‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প’, অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, আশ্বিন ১৩৬২ । |
4 comments:
বইটির ভূমিকাটি যথেষ্টই মূল্যবান। ‘মৌচাক’ পত্রিকার অলিখিত সম্পাদক বিশু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিখ্যাত প্রকাশন সংস্থা এম.সি.সরকার.এন্ড সন্স–এর অফিসে আমারও একবার দেখা হয়েছিল। সে সত্তরের দশকের অন্তিম পর্ব। মৌচাক পত্রিকায় একটা গল্প পাঠিয়েছিলাম। মাস কয়েক পরে পত্রিকার অফিস অর্থাৎ এম.সি.সরকার.এন্ড সন্স–এর দোকানে খবর নিতে গেছি। কাউন্টারের ছেলেটি এক কোনে বসা ধুতি–পাঞ্জাবি পরা বিশু মুখোপাধ্যায়কে দেখিয়ে দিলেন। মানুষটির টেবিল ঘিরে বসে রয়েছেন অন্তত জনা ছয়েক নবীন–প্রবীণ মানুষ। বুঝতে অসুবিধা হয়নি‚ বাংলা সাহিত্যে তাঁরা যথেষ্টই প্রতিষ্ঠিত। সন্ধের পরে বিশু মুখোপাধ্যায়ের টেবিল ঘিরে এভাবেই প্রতিদিনই জমে উঠত সাহিত্যিকদের আড্ডা। সংস্থার কর্ণধার সুধীরচন্দ্র সরকার নিজেও কখনও যোগ দিতেন। এই আসরেই ‘মৌচাক’–এ ধারাবাহিক লেখার ফরমাস পেয়ে হেমেন্দ্র রায় লিখেছিলেন ‘যকের ধন’। বিভূতিভূষণ লিখেছিলেন ‘চাঁদের পাহাড়’। বিভূতিভূষণ নিজেই সেকথা লিখে গেছেন।
যাই হোক সেদিন বিশু মুখোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে সসংকোচে উদ্দেশ্য ব্যক্ত করতেই উনি আড্ডা থামিয়ে লেখাটি কবে পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলেন। তারিখটি বলতেই উনি তারিখ সহ গল্পের নাম টেবিলে ছোট এক টুকরো চিরকুটে লিখে নিলেন। মাস কয়েকের মধ্যে ডাকে ‘মৌচাক’এর একটি সংখ্যা পেয়েছিলাম। আমার লেখাটি সেই সংখ্যায় ছাপা হয়েছে। ছাপার হরফে আমার প্রথম গল্প। তবে গল্পটির সঙ্গে কোনও ছবি ছিল না। তাই কিছুটা ক্ষোভ ছিলই। বোধ হয় সেই কারণেই পরবর্তীকালে ‘মৌচাকে’ আর লেখা পাঠাইনি। ততদিনে ‘শুকতারা’ আর ‘কিশোর ভারতী’ পত্রিকায় দু’একটি লেখা ছাপা হয়ে গেছে। আর লেখার সংখ্যাও পরিমাণে তেমন বেশি না হওয়াও একটি কারণ। পরে জেনেছি‚ তৎকালীন ‘মৌচাক’ পত্রিকার কর্তৃপক্ষ লেখার মানের উপর যতটা জোর দিতেন‚ ছবির উপর ততটা নয়।
উল্লেখিত বইটির উত্সর্গপত্রের কবিতাটিও কিন্তু যথেষ্টই উঁচু মানের।
অশেষ ধন্যবাদ শিশির বাবু, আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ সংযোজনের জন্য ।
আমাদের প্রজন্মের কারো সুযোগ হয়নি নারায়ণ বাবু, বিশু বাবু-র মত তৎকালের সাহিত্য-রথীদের সাক্ষাৎ পাওয়ার ।
তবু আপনাদের মত গুণী মানুষদের স্মৃতিকথা থেকে তাঁদের সম্পর্কে জানতে পারছি, এ-ও এক অনবদ্য প্রাপ্তি ।
আমরা সবিশেষ কৃতজ্ঞ ।
Bhumikati aro ektu sposto pora gele bhalo hoto
আচ্ছা । চেষ্টা করব আরও বড় করে রাখতে ।
Post a Comment